এবার প্যারিস এয়ার শোতে নতুন নতুন
আকাশ প্রযুক্তির সমারোহ ঘটেছে, যা আগামীতে আকাশভ্রমণে ব্যবহৃত
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এয়ারবাস এ৩২০ মডেলে গ্রিন
প্রযুক্তি
হানিওয়েল এবং সাফরান নামে দুটি
প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে পুরনো এয়ারবাস এ৩২০ মডেলে আনছে ইলেকট্রিক গ্রিন
ট্যাক্সিং সিস্টেম। এয়ারবাস এ৩২০ মডেলে দক্ষতা
বাড়াতে দুটি পাওয়ার যুক্ত করা হয়েছে। এটি দেখতে একটি হাইব্রিড গাড়ির মতো। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মূল ইঞ্জিন চালু না রেখে এর চাকায়
সংযুক্ত একটি কন্ট্রোল ইউনিটের সাহায্যে বিমানটি এয়ারপোর্টের ভেতরে চলাচল করতে
পারে। প্রতিষ্ঠান দুটি দাবি করছে, এই বিমানের নতুন সিস্টেমে প্রতি বিমানে প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার
মূল্যের জ্বালানি সাশ্রয় ঘটাবে যা মোট জ্বালানির শতকরা ৪ ভাগ পর্যন্ত সাশ্রয় করবে।
ড্রোন প্রযুক্তি
ড্রোন প্রযুক্তির মানেই হল
পাইলটবিহীন বিমান। এ ধরনের বিমান নির্দিষ্ট
স্থানে আঘাত হানতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে এই ড্রোন বিমানের বিতর্কিত ব্যবহারের
জন্য বিশ্বে যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সমালোচনার পরও থেমে ড্রোন গবেষণা। এবারের প্যারিস এয়ার শোতে নানা আকারের ড্রোন প্রদর্শন
করা হয়েছে। নতুন কমব্যাট ড্রোন বিমান বেশ
বড় আকৃতির এবং অনেক দূরত্বে উচ্চগতিতে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বিমান হিসেবে কাজে লাগানো
যাবে বলেই দাবি করেছেন নির্মাতারা।
এয়ারবাস এ৩৫০ মডেলে নতুন প্রযুক্তি
এয়ারবাস এ৩৫০ মডেলে নতুন
প্রযুক্তির ইঞ্জিন সংযুক্তি করা হয়েছে। নতুন ইঞ্জিনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নভেল টেকনোলজি যা একইসঙ্গে ওজন
কমিয়ে দেয় এবং জ্বালানি সাশ্রয় ঘটায়।
প্রজেক্ট জিরো : অর্ধেক প্লেন, অর্ধেক হেলিকপ্টার
এটি যুক্তরাজ্যের একটি অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড প্রজেক্ট। এটিকে বর্ণনা করা হয়েছে অর্ধেক প্লেন, অর্ধেক হেলিকপ্টার হিসেবে। এটি বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলবে যা বাতাসের সাহায্যে পুনরায় চার্জ করা
যাবে।
0 মন্তব্য:
Post a Comment